শীত শুরু হতে না হতেই বন্দরনগরীর বাসিন্দাদের এক নীরব যুদ্ধের সাথে লড়াই করতে হয় আর তা হলো গ্যাসের সাথে। গত কয়েকমাস ধরে গ্যাস সংকট চরম আকার ধারণ করলে স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হতে শুরু করেছে। একদিকে বাসা বাড়িতে কাঠের চুলায় রান্না করা মুশকিল অন্যদিকে এলপিজির দাম বেড়ে যাওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়েছে নিম্ন–মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি অন্যদিকে গ্যাসের সংকট এ যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে দেখা দিয়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপনে। গ্যাসের সংকটের এই সময়ে যেসব যানবাহন গ্যাসের উপর নির্ভরশীল সে সব যানবাহন রাস্তায় না নামায় যানবাহন সংকটে পড়েছে অফিসগামী যাত্রীরা। সে সুযোগে অন্যান্য যানবাহনগুলো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ–তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এক কথায় গ্যাস সংকটের এই সময়ে নীরব দুর্ভিক্ষে জীবনযাপন করছে নগরবাসী। এ নীরব আর্তনাদ দেখার কেউ না থাকলেও মাস শেষে গ্যাসবিল কিন্তু ঠিকই গুণতে হচ্ছে নগরবাসীর। গ্যাস সংযোগ না থাকার ফলে বিকল্প হিসেবে এলপিজি বা বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে মাস শেষে অতিরিক্ত টাকা খরচ হওয়ার ফলে শঙ্কিত হয়ে পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের পরিবারগুলো। প্রতিবছর এমনটা হলে এর থেকে উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ধরনের ব্যবস্থা নিবে এখন সেটিই দেখার বিষয়।