কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক আবাসিক এলাকার ঈদুল আজহার গরুর বাজারে এবার নতুন আকর্ষণ গোলাপি মহিষ। চীন ও থাইল্যান্ডের গোলাপি মহিষগুলো নজর কাড়ছে ক্রেতাদের। বিচিত্র এ গোলাপি মহিষগুলো দেখতে বাজারে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রেতারা বাজারে এসে আগে থমকে দাঁড়াচ্ছে মহিষগুলোর সামনে।
এসব মহিষের শরীরের পুরো অংশ গোলাপি রঙের। শুধু তাই নয়, শিং, লেজ, চোখের পাপড়ি, পায়ের খুরা, নাকসহ শরীরের সব অঙ্গ গোলাপি। অন্য মহিষগুলো থেকে রঙের পার্থক্য ও আকর্ষণীয় গোলাপি রং হওয়ায় ক্রেতা–বিক্রেতাসহ যে কারোর নজর কাড়ছে মহিষগুলো।
এছাড়া এ বাজারে মরুর জাহাজখ্যাত ৩টি উট ও ৩০ মণ ওজনের সাদা পাহাড় নামে একটি বড় গরু দেখতে ক্রেতা–বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
মশিউর রহমান নামে এক ক্রেতা জানান, গরু দেখতে এসেছি। দাম বুঝতে চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। বাজারে এসে সারিবদ্ধভাবে গোলাপি মহিষ দেখতে পেয়ে অবাক হলাম। যেকোনো বাজারে সচরাচর কালো মহিষ দেখা গেলেও গোলাপি রঙের মহিষ দুর্লভ। এসব মহিষ যে কাউকে আকর্ষণ করবে। সাধ্য থাকলে একটি গোলাপি মহিষ কিনে ফেলতাম।
গোলাপি মহিষ বিক্রেতা মো. জিয়াউর রহমান জানান, মহিষগুলো চীন ও থাইল্যান্ড থেকে ভারতের আসামে আসে। পরে ভারত হয়ে যশোরের বেনাপোল ও সিলেট দিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে নেওয়া হয়। তিনি জানান, বেনাপোল এলাকায় এক বছর আগে এসব মহিষ বিশাল এগ্রো নামে একটি ডেইরি ফার্মে কেনা হয়। কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেক গরুর বাজারে ১১টি গোলাপি মহিষ এবং একটি বিশালাকৃতির জাফরাবাদী মহিষ আনা হয়েছে। একেকটি মহিষের ওজন ১২ থেকে ১৬ মণ। গোলাপি মহিষগুলোর একেকটির দাম হাঁকা হচ্ছে সাড়ে ৬ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা।
জিয়াউর রহমান বলেন, সৌখিন মানুষই গোলাপি মহিষের ক্রেতা। গোলাপি মহিষগুলো দেখতে নজরকাড়া, মাংসও সুস্বাদু। শুধু বাইরে নয়, এর মাংসও দেখতে গোলাপি রঙের।
বাজারের ইজারাদার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মইজ্জ্যারটেক বাজার মানেই আকর্ষণ। এখানে ক্রেতা–বিক্রেতার জন্য নানা সুযোগ–সুবিধা রয়েছে। এবার সুন্দর সুন্দর গরু–মহিষ, ছাগল ও উট এ বাজারে এসেছে। নানা জায়গা থেকে ক্রেতা–বিক্রেতারা এ বাজারে আসছেন।