গোপালগঞ্জে উত্তেজিত লোকজন সেনাবাহিনীর গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় নয়জন সেনাসদস্য এবং সংবাদকর্মীসহ স্থানীয় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শনিবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর–আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গোপীনাথপুরে বিক্ষোভকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সেনা টহল দলের ওপর হামলা করে। মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দুটি টহল দল ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর ইট–পাটকেল ছুড়ে মারে এবং দেশীয় তৈরি অস্ত্র দিয়ে টহল দলের সদস্যদের আঘাত করে। এতে তিনজন অফিসার, একজন জুনিয়র কমিশন অফিসার ও পাঁচ সেনাসদস্য আহত হন।
আহত সেনা সদস্যরা আশঙ্কামুক্ত ও চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে, এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সেনা টহল দল চার রাউন্ড অ্যামোনিশন ফায়ার করে। পরিস্থিতির তীব্রতা পরিলক্ষিত হওয়ায় ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সেনাবাহিনী এসে মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বিক্ষুব্ধ জনতা। তারা সেনাবাহিনীর ওপর ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।
গোপালগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেনেন্ট কর্নেল মাকসুদুর রহমান বলেন, ৩–৪ হাজার জনতা সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় জড়ো হয়ে রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা উত্তেজিত হয়ে ইট–পাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে তারা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাচ্চু শরীফ বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন। এতে শিশুসহ দুজন বিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ মারা যাননি। সন্ধ্যার দিকে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।