প্রথম স্ত্রী থাকার পরেও কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে সাজেদা বেগম নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে নিয়ে এসে বিয়ে করেন চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন। এরপর সাজেদাকে ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বার্মাইয়া পাড়ায় রেখে চট্টগ্রাম শহরে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে নাছিরের স্ত্রী পরিচয়ে রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করেন জন্ম নিবন্ধন, রোহিঙ্গা নয় মর্মে- জাতীয়তা সনদ এবং ওয়ারিশী সনদ। সেই সনদ ব্যবহার করে ইতোমধ্যে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পথে রোহিঙ্গা নারী সাজেদা বেগম। এই বিষয়ে নাছির উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী জুবাইদা বেগম বাদী হয়ে সাজেদা বেগম রোহিঙ্গা নারী মর্মে- দুর্নীতি দমন কমিশন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সরকার বিভাগের ডিডিএলজি, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জুবাইদা বেগম দাবি করেছেন, সাজেদা বেগমের পুরো পরিবার টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছে। সেখান থেকে সাজেদাকে নিয়ে এসে বিয়ে করেন তার স্বামী নাছির। পরবর্তীতে সাজেদা জন্ম নিবন্ধন সনদ, রোহিঙ্গা নয় মর্মে জাতীয়তা সনদ এবং ওয়ারিশী সনদ তুলেছেন। এসব সনদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় দফাদার আহমদ হোসেন ও বার্মাইয়া পাড়ার আরাফাত হোসেন সাজেদার অভিভাবক সেজেছেন। আর এতে সার্বিক সহায়তা দিয়েছেন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।
তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাজেদা বেগম যে রোহিঙ্গা তা তিনি জানতেন না। যখনই নিশ্চিত হয়েছেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সেই সনদগুলোর কার্যকারিতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ওই রোহিঙ্গা নারীর আর ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, বিএমচর ইউনিয়নের নাছির উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী বাদী হয়ে সাজেদা বেগম নামের রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে ভোটার হওয়ার যে তৎপরতা তা আমরা অবগত আছি। তাই ওই নারী কোনোভাবে যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এই বিষয়টি তদন্ত করা হবে।










