পুলিশী চেকপোস্টে গুলি বিনিময়ের পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নগরীর চিহ্নিত অপরাধী সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুলকে (৩২)। নগরীর বায়েজিদ-ভাটিয়ারি লিংক রোড থেকে বুধবার গভীর রাতে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা রয়েছে। তারা তিন ভাই। বাকি দুই ভাইও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এদের মধ্যে সবুজের বিরুদ্ধে ২১ টি এবং সামসুর বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলা রয়েছে। বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে জানান, বার্মা সাইফুল ও তার দুই ভাই এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম, মাদক ব্যবসা, জায়গা দখল ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত তারা। এরমধ্যে কয়েকদিন আগে তার ভাই সবুজ পাঁচলাইশ থানায় ধরা পড়ে।
ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির ফটকের কাছে চেকপোস্ট বসিয়ে রাতে তল্লাশি করছিল পুলিশ। রাত পৌনে ২টার দিকে ফৌজদারহাটের দিক থেকে তিনটি মোটর সাইকেলে করে ৬ জন লোক বায়েজিদে আসার সময় তাদের থামানোর সংকেত দেয় দায়িত্বরত পুলিশ। দুটি মোটর সাইকেল দ্রুত চেকপোস্ট অতিক্রম করে চলে গেলেও একটি মোটর সাইকেল রাস্তায় ফেলে ২ যুবক পাহাড়ের দিকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাদের পিছু নিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলির পর পাহাড়ের ঢালে বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও তিনটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়। সাইফুলের সঙ্গে থাকা অন্য যুবকটির নাম সুজন বলে তার বরাতে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় মামলা হয়েছে। আহত সন্ত্রাসী সাইফুলকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বায়েজিদ থানার এসআই নাজমুল ইসলাম, এএসআই সাইফুল ইসলাম ও রবিউল হোসেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।