পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও স্ত্রী–সন্তানের মালিকানাধীন চারটি ফ্ল্যাটে তালা খুলে প্রবেশের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে বেনজীর ও তার স্ত্রী–সন্তানের নামে কেনা গুলশানের র্যাংকন আইকোন টাওয়ারের ওই চারটি জব্দের আদেশ দেন একই বিচারক। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, এর আগে বেনজীর আহমেদের পরিবারের ওই চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দায়িত্ব দেয় আদালত। খবর বিডিনিউজের।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর গত ১৩ জুন ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের কর্মকর্তারা সেখানে যান। কিন্তু তাদের হাতে চাবি না থাকায়, কর্মকর্তারা সেখান থেকে ঘুরে আসেন। সে সময় তারা জানতে পারেন এই চাবি আছে বেনজীরের কাছে।
পিপি জাহাঙ্গীর জানান, দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ আদালতকে দেওয়া আবেদনে বলেছিল, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলসহ আনুষঙ্গিক খরচের বিষয় রয়েছে। তাছাড়া ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়ার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ফ্ল্যাটের মালামালের তালিকা করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া জরুরি। মঞ্জুর মোরশেদের ওই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। এখন দুদকের কর্মকর্তারা চারটি ফ্ল্যাটের দেখভালে নিয়োজিত থাকবেন। এবং তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিতিতে ওই চার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করবেন। দুদক জানিয়ে গুলশানের র্যাংকন আইকোন টাওয়ারে বেনজীরের ফ্ল্যাট আছে ১৩ ও ১৪ তলায়। ওই দুই তলায় ৯ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেঙ ফ্ল্যাট আছে সাবেক আইজিপির।
ওই টাওয়ারের রিসেপশনিস্ট মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে কথা বলে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পারেন, খালি ফ্ল্যাটের চাবি থাকে বেনজীরের কাছে। তবে বেনজীর বা তার পরিবারের কোনো সদস্য সেখানে বসবাস করে না। এবং তারা কোথায় থাকেন সে বিষয়েও রিসেপশনিস্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। ওই সময় ভবনের ম্যানেজার মো. জসিমকে ভবনে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।