নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সায়রা বানুর হাঁটুতে দু’টি ব্লাড ক্লট ধরা পড়েছে। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েক সায়রা বানুর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। বাড়িতে তিনি ঠিক মতো চলাফেরাও করতে পারছেন না। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন তিনি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে কিনা, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দিলীপ কুমারের থেকে বয়সে ২২ বছরের ছোট ছিলেন সায়রা বানু। বয়সকে এক পাশে সরিয়ে দিলীপ কুমারকে চুপি চুপি মনও দিয়ে ফেলেছিলেন সায়রা। তবে দিলীপএকেবারেই সেটা টের পাননি প্রথমে। ততদিনে শাম্মি কাপুরের বিপরীতে বলিউডে পা দিয়ে ফেলেছেন সায়রা। তার মিষ্টি চেহারা নিয়ে বলিউডে সেই সময় নানা কথা। দিলীপ কুমারেও চোখ এড়িয়ে যায়নি।
সায়রার মিষ্টি স্বভাবে অল্প হলেও মন মজেছিল দিলীপ কুমারের। শোনা যায়, প্রথম দেখাতে নাকি সায়রার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন দিলীপ। আর তা শুনে সায়রা একেবারেই লজ্জায় লাল। সেই প্রথম আলাপের পরেই প্রেমের সূত্রপাত।
১৯৬৬ সালের ১১ অক্টোবর সায়রার সঙ্গে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। তখন সায়রার বয়স ২২, দিলীপ কুমারের ৪৪। দিলীপ কুমার তার বায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন, সায়রার গর্ভে এসেছিল সন্তান। তবে সন্তানধারনের পর সায়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক বাঁচাতে পারেনি দিলীপ–সায়রার সন্তানকে।
এই ঘটনার পরেই দিলীপ কুমার ১৯৮১ সালে ফের বিয়ে করেন। যা কিনা টিকে ছিল মাত্র দু’বছর। প্রেমের টানে ফের সায়রার কাছেই ফিরে আসেন তিনি। বায়োগ্রাফিতে দিলীপ জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।