হাটহাজারীর গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের গত ৩১ আগস্টের গণশুনানিতে দুই সন্তানের জননী রিংকু মনি তার উপর গত কয়েকবছর ধরে চলা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। তার জীবনের বিভীষিকাময় কথা শুনে উপজেলা প্রশাসন প্রতিকারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রশাসনের গৃহীত উদ্যোগের ফলে এই মহিলা প্রতিকার পাওয়া শুরু করেছেন।
জানা যায়, ২০১৮ সালে স্বামীর সাথে ডিভোর্সের আগে স্বামী ও দেবরের নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। আর ডিভোর্সের পরে পাননি কাবিনের টাকা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণ। এ ছাড়া বাবার বাড়ি থেকে প্রাপ্ত নিজ ব্যবহার্য আসবাবপত্রও বারবার চেয়ে ফেরত পাননি শ্বশুর বাড়ি থেকে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কয়েকদফা সালিসেও প্রতিকার পাননি রিংকু। গণশুনানিরতে প্রাপ্ত এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস কক্ষে উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণপূর্বক উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি কতিপয় সিন্ধান্ত গ্রহণ করে যার প্রথম সিদ্ধান্তটি গতকাল রবিবার বাস্তবায়ন হয়। তার সাবেক স্বামীর নিকট হতে উপজেলা নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সকল আসবাবপত্র গতকাল রিংকু মনির পরিবারের নিকট হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের উপস্থিতে আসবাব পত্র ফেরত দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।