উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের নিয়মিত আয়োজন ‘শরতের শুভ্র–সুন্দর অনুভূতিগুলো’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের কথামালা পর্বে আলোচকরা বলেন, শরৎ হচ্ছে সুন্দরের ঋতু, পরিচ্ছন্নতার ঋতু। বর্ষা শেষে এ ঋতুর উপস্থিতি মানব মনে ইতিবাচক ও সুন্দর অনুভূতি জাগ্রত করে। মনের কৌলিন্য দূর করে। তাই আমাদের সঙ্গীত ও সাহিত্যে শরৎ ঋতু নিয়ে রয়েছে অসংখ্য কালজয়ী গান ও কবিতা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর শিল্পকলা একাডেমির জয়নুল আর্ট গ্যালারিতে শরৎ ঋতু নিয়ে উচ্চারকের সপ্তম পর্বের এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শরৎ নিয়ে আলোকপাত করেন লেখক ও সংগঠক খনরঞ্জন রায় এবং উচ্চারক শুভানুধ্যায়ী সদস্য সংস্কৃতিকর্মী বেলাল আহমেদ জুয়েল।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উচ্চারকের সহসভাপতি এ এস এম এরফান। আবৃত্তিশিল্পী রোকসানা আফরিন সিলভিয়া ও ফারিহা ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শরতের কবিতা আবৃত্তি করেন জাভেদ হোসেন, মাশরুর হোসেন, শ্রাবণী দাশগুপ্তা, ইকবাল হোসেন জুয়েল, অনন্যা চৌধুরী, সৌরভ জাহান শুভ, উচ্চারকের সদস্যদের মধ্যে আবৃত্তি পরিবেশন করেন এ্যানি চৌধুরী, পুষ্পিতা দাশ, মো. হামিদ উদ্দিন, সম্পূর্ণা বড়ুয়া, তুলতুল চৌধুরী, কাসিফ মাহমুদ, নাজিব ইরতিশাম চৌধুরী, রাদিয়া জাহেদ, তাথৈ বড়ুয়া, মোবাশশেরা আহমেদ, রাইসা জান্নাত নাবিলা ও সাবিকুন বিনতে হোসাইন।
শরতের গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী মো. মোস্তফা কামাল ও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী কান্তা দে। উচ্চারক দিপা দাশ মিতুর নির্দেশনায় কবি ভবানী প্রসাদ মজুমদারের ‘শরৎ আসে, শরৎ হাসে’ কবিতার বৃন্দ আবৃত্তি করে উচ্চারক শিশুকুঞ্জের শিল্পীরা। এতে অংশ নেয় ফারিহা তাহের গল্প, সাবিকুন বিনতে হোসাইন, আদিত্য সরকার, সাহিত্য সরকার, জয়দীপ দে, রুমাইসা মাহরীন, সুহেলা সুবাহ ও মো. রেজা রাহিল।
শরত নিয়ে আবৃত্তিশিল্পী এ এস এম এরফানের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় আরেকটি বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে উচ্চারক শিশু কুঞ্জের শিল্পী রাদিয়া জাহেদ, ফারাহ তাহের প্রকৃতি, নায়রা নাওয়ার চৌধুরী, নাজিব ইরতিশাম, বুশরা আলম, জাহানারা সানজিদ, মোবাশশেরা আহমেদ, তাথৈ বড়ুয়া, অনিরুদ্ধ বিশ্বাস, অংকিতা বড়ুয়া, পুষ্প বড়ুয়া, হুমায়রা আক্তার ও সঞ্জিত দাশ। নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী প্রাচী চৌধুরী ও নূর ই জান্নাত নাদিয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।