গাজায় ব্যবহার হতে পারে এমন শঙ্কায় ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জার্মানি। দেশটির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস বলেছেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে কোনও অস্ত্রের রপ্তানি অনুমোদন করবে না বার্লিন। বিশেষ করে সেই অস্ত্র যদি গাজায় ব্যবহার করা হয়। ম্যার্ৎস এক বিবৃতিতে বলেন, হামাসের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার ইসরায়েলের আছে। তবে জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য যথাযথ আলোচনাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। খবর বিডিনিউজের।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা দখলের পরিকল্পনায় সায় দেওয়ার পরই সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। খোদ ইসরায়েলেও এই পরিকল্পনার ঘোর বিরোধিতা হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। এমন পরিস্থিতিতেই জার্মানির চ্যান্সেলর ম্যার্ৎস ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত জানালেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা কীভাবে বৈধ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে তা বোঝা খুবই দুঃসাধ্য।
জুনে পার্লামেন্টে দেওয়া হিসাব মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জার্মানি ৪৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর সামরিক সাজসরঞ্জাম রপ্তানি করেছে। সেই তুলনায় ইসরায়েলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম।