স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর বাবা–মা ও অন্যান্য সদস্যরা ফিলিস্তিনের গাজায় নির্যাতনের মধ্য দিয়ে বসবাস করছেন। হামজা ইউসুফ স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা। তিনি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তার স্ত্রীর নাম নাদিয়া এল–নাকলাও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা। উত্তর–পূর্ব স্কটল্যান্ডের ডান্ডি শহরের কাউন্সিলর তিনি। নাদিয়া ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। তার বাবা ম্যাগেদ ও এলিজাবেথ এল–নাকলা ফিলিস্তিনেই বসবাস করেন। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর তারা গাজা উপত্যকায় পরিস্থিতিতে আটকা পড়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
হামজা ইউসুফ আল জাজিরাকে বলেন, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা গাজা উপত্যকায় গাজায় নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছেন। ম্যাগেড ও এলিজাবেথ (হামজার শ্বশুর–শাশুড়ি) ১০০ জনের সঙ্গে থাকছেন। তাদের কাছে মাত্র ছয় বোতল পানি আছে। শতজন মানুষের মধ্যে দুই মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে। আমার স্ত্রীর বাবা–মা জানেন তা তারা এক রাত পার করার পর দ্বিতীয় রাত দেখতে পারবেন কিনা। উল্লেখ্য, চলতি বছর হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধকালীন হামজা ইউসুফই প্রথম কোনো পশ্চিমা নেতা যুদ্ধবিরতি ও গাজার জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা করে দক্ষিণ ইসরায়েলে। এরপরই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন ইসরায়েল। গাজায় ঢুকে অবর্ণনীয় আগ্রাসন চালাতে শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। তিন দিন পর অর্থাৎ গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি ও গাজার জন্য মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান হামজা ইউসুফ। ব্রিটিশ সরকারকে তার বার্তা প্রচার করতে বলেন তিনি।