‘আজ সমগ্র পৃথিবীতে সর্বস্তরের মানুষ স্ফুলিঙ্গের মত ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করেছে। কিন্তু মানবতার বুলি আওড়ানো বিশ্ব মোড়লরা তাদের মানবতার সেই ইতিহাস আজও রচনা করতে পারেনি। গাজায় প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। যার আঘাতে প্রতিনিয়ত মৃত্যুবরণ করছে আমাদের ভাই–বোন ও সন্তানেরা। দখলদারদের হত্যাকাণ্ডের তালিকায় রয়েছে গণমাধ্যম, ত্রাণ ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও।’
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ গেট থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীর দেউরি মোড়ে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুমিনুল হকের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজীর হাসান জুয়েল, মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম। এ সময় চট্টগ্রামে বাটা, পিজ্জা হাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটকারীদের সতর্ক করে বক্তারা বলেন, যারা এ ধরনের হামলা ও লুটপাটের সাথে জড়িত, তারা আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। যারা এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত তারা কোনোভাবেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করছে না, তারা এ আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিয়ে এই সরকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তাদের এ সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে ছাত্রসমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বের নেতাদের হুশিয়াঁরি দিয়ে বক্তারা বলেন, এখনই মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ও মানবতার পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। নয়তো সালাউদ্দিন আইয়ুবীর বংশধররা জেগে উঠলে শুধু ইসরায়েল নয় আপনার মসনদ ধরেও টান দিবে।
বিক্ষোভ মিছিটিতে ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই; গাজাতে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই; ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করো, করতে হবে; অবিলম্বে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ কর, করতে হবে; সন্ত্রাসী ইসরায়েল বয়কট, বয়কট ইত্যাদি স্লোগান দেয়া হয় এবং এসব স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড ও ফ্যাস্টুন বহন করা হয়। এছাড়া মিছিলে গাজায় নিহত শিশুদের প্রতীকী লাশ প্রদর্শন করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররাম মুরাদ।
