তীব্র তাপদাহে পুড়ছে প্রকৃতি, পুড়ছে পশুপাখি, পুড়ছে মানুষের জীবন। তীব্র গরমে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হাঁসফাঁস মানুষ। দীর্ঘ ছত্রিশ বছরে তাপমাত্রার রেকর্ড বাংলাদেশে। জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে। তাই আজ ভাববার সময় এসেছে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের আগামী প্রজন্মকে কী দারুণ সংকটে পড়তে হবে যদি না এখন থেকে আমরা ধরিত্রী রক্ষায় পদক্ষেপ না নিই। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে চলেছে দূষণ। মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে অকাতরে গাছপালা কেটে সবুজ বনানী ধ্বংস করে, বন উজাড় করে গড়ে তোলে বড় বড় ইমারত। এভাবে বায়ুতে মিথেন, কার্বনমনোঅঙাইড, কার্বনডাইঅঙাইডসহ নানা ক্ষতিকর গ্যাস বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর ক্ষতিড়গ্রস্ত হয়, পৃথিবীর পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে তৈরী হয় গ্লোবাল ওয়ার্মিং। তাই আজ প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে, দেখতে হচ্ছে এমন বৈরী রূপ! তাই এখন থেকেই জলবায়ু সংরক্ষণে যে পরিমাণ গাছ কেটে ধ্বংস করা হয়েছে বন্ধন, সে পরিমান গাছ লাগানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করতে হবে যে বড়, বড় দালানের সামনে, ছাদে পরিবেশ বান্ধব গাছসহ বাগান থাকতে হবে। পাঠ্যপুস্তকে জলবায়ু সংরক্ষণে গুরুত্বসহ, জলবায়ু সংকট বিষয়ক অধ্যায় সংযোজন করতে হবে। কোমলতা শিক্ষার্থীদের শুধু বৃক্ষ সপ্তাহে নয়, সারাবার বাড়ির খোলা জায়গায়, বিদ্যালয় আঙ্গিনাসহ, ছাদে বাগান করা, নিজের হাতে গাছ লাগানোর আনন্দ, গাছ পরিচর্যা করা, বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করা, গাছে পানি দেয়ার মত কাজগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে। এখানের ছেলেমেয়েরা শুধু টিভি, মোবাইল আর ল্যাপটপ দেখেই অবসর সময় কাটায়। এই অবস্থা থেকে তাদের বের করে তাদের প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিয়ে যেতে হবে। প্রকৃতি, গাছপালাকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে। গাছেরও প্রাণ আছে, অনুভূতি আছে এসব কথা শুধু পুঁথিগত না রেখে তা বাস্তবে তাদের অনুভব করাতে হবে। তবেই তারা বৃক্ষরক্ষায় এবং গাছলাগিয়ে জলবায়ু সংরক্ষণে মনোযোগী হবে। তাই আসুন আর বিলম্ব না করে আমাদের প্রিয় পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে গাছ লাগানোর শপথ নিই। বেশি, বেশি করে গাছ লাগিয়ে সবুজ বিপ্লব গড়ে তুলি।