রাউজানের সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ‘সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’ এর আওতায় ৫২টি পরিবারে একটি করে উন্নত জাতের ক্রসব্রিড বকনা বাছুর দেয়ার কথা ছিল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল রোববার উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি ছিল এগুলো বিতরণের। এদিন গরুর বাছুর সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাত্র তিনটি গরু বিতরণের জন্য এখানে নিয়ে আসেন। কিছু কারণ দেখিয়ে তারা বাকি বাছুর পরবর্তী সময়ে সরবরাহ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন উপজেলা প্রশাসনকে।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ করির সোহাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ঠিকাদারের সরবরাহ করা গরু তিনটি তিন পরিবারকে হস্তান্তর করতে এসে বাছুর দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনটি গরু ছিল কঙ্কালসার দেশীয় জাতের। এঅবস্থায় ইউএনও বিষয়টি
ফোনে অবহিত করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীকে। সাংসদ উপজেলা চত্ত্বর থেকে মোবাইল ভিডিওতে গরু তিনটি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি গরু তিনটি ঠিকাদারকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি কাগজপত্রে নির্ধারিত গরু ছাড়া অন্য কোন বাছুর গ্রহণ না করারও নির্দেশ দেন। সাংসদের নির্দেশনা অনুসরণ করে উপজেলা প্রশাসন তিনটি গরু ফেরত দেন। জানা যায়, রাউজানে ৫২টি পরিবারে উন্নত জাতের ক্রসব্রিড বকনা বাছুর সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিল টেনটেক ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কাগজে কলমে এসব বাছুরের দাম ছিল প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা।