নগরের কোতোয়ালী থানাধীন জেল রোড এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গণপিটুনি দিয়ে শাহেদ হোসেন নামে ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তবে নিহত যুবকের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমানত শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে ধারালো ছুরি নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে লালদীঘি এলাকার জেল রোডের মুখে অবস্থান করছিলেন শাহেদ হোসেন। আমানত শাহ মাজারসংলগ্ন এলাকায় তার সঙ্গে ভবঘুরে ওই যুবকের বাগবিতন্ডা হয়। দুজনের মধ্যে পরে ধস্তাধস্তি শুরু হলে একপর্যায়ে শাহেদ ওই ভবঘুরে যুবককে ছুরিকাঘাত করেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা ধাওয়া দিয়ে শাহেদকে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করেন। ছুরিকাহত ওই যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মারধরে আহত ছিনতাইকারীকেও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম জানান, নিহত যুবকের পরিচয় জানতে সিআইডি তার আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। তাকে কি ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, নাকি দুজনের মধ্যে অন্য কোনো বিষয়ে বাগ্বিতন্ডার একপর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটক ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
তবে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই ছিনতাইকারীকে লালদীঘি মোড় থেকে ধাওয়া করছিলেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে তাকে সামনে থেকে আটকাতে যান এক যুবক। এ সময় ওই যুবককে ছুরিকাহত করে ছিনতাইকারী। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে যুবক মারা যান। এরপর ছিনতাইকারীকে ধরে পিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাকে পুলিশ গিয়ে আটক করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, সবাই ছিনতাইকারীকে ধরতেই দৌঁড়াচ্ছিলো। কেউ ছুরিকাহত ছেলেটিকে হাসপাতালে নেননি সঠিক সময়ে। সঠিক সময়ে তাকে হাসপাতালে নেওয়া গেলে বাঁচানো যেতো। ডাক্তারও এটা বলেছিলেন।