কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যার নির্দেশদাতা ও দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এই রুল জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ মঙ্গলবার রিট মামলাটি করেন; শুনানিও করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। খবর বিডিনিউজের। আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আমি রিট করেছি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন।’
তিনি বলেন, রিটে বিগত সরকারের সময় যারা সাংবিধানিক পদ, সংসদ সদস্য, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন– তাদের বিদেশে গমনের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতির নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল। ‘কিন্তু আদালত এ ধরনের নির্দেশনা দেননি। তবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমি আদালতে মামলা করতে পারব বলে ‘লিবার্টি’ দিয়েছেন।’
গত মঙ্গলবার দায়ের করা এ রিট মামলায় আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়; চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।