গণসংযোগে ভিড়, সড়কে যানজট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষদিনে উৎসব মুখর ছিল নগরী। বেলা ২টা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই ট্যাক্সি, রিকশা-ভ্যান, ট্রাকে করে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত করেন থিমসং।
আগামীকাল বহুল কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে গতকাল প্রচারণার শেষদিনে প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা পুরো নগরী স্লোাগান-আর গানে গানে মাতিয়ে তুলেন। এবারই প্রথম মেয়র থেকে শুরু করে প্রতিটি কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের ডিজিটাল প্রচারণার মাধ্যমে সশরীরে না গেলেও ঠিকই পৌঁছে গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। গতানুগতিক প্রচারণার বাইরে গিয়ে ডিজিটাল প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রা। প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের এম রেজাউল করিম চৌধুরী (নৌকা) ও বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন (ধানের শীষ) সহ ৭ মেয়র প্রার্থী এবং ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
শেষদিন বলেই হয়তো মাত্রা ছাড়িয়েছে প্রচারণার ধরনের। নগরীর জামালখান, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, দেওয়ান বাজার, এনায়েত বাজার ও লালখান বাজার ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মিছিল-গণসংযোগ অনেক ক্ষেত্রে শোডাউনে পরিণত হয়েছে। ফলে লালখান বাজার, স্টেডিয়াম, জামালখান, এনায়েত বাজার, আন্দরকিল্লা, নিউমার্কেট মোড়, চকবাজার এবং বহদ্দারহাট মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট ছিল। তবে উৎসবের এই আমেজে নগরবাসী ছিল উৎসুক। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর শোনা যায়নি।
এর আগে সকাল সকাল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনসহ দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বহদ্দারহাটসহ আশপাশ এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদ সম্মেলন শেষে জামালখান, এনায়েত বাজার ও আলকরণ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
এদিকে বিকালে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আজাদীকে জানান, সোমবার (গতকাল) মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে অবস্থান নিয়েছেন। তাদেরকে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যাতে কেউ বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য মাঠ পর্যায়ে প্রশাসন সর্তক রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামেই হোয়াইট ওয়াশ
পরবর্তী নিবন্ধনিরাপত্তার চাদরে নগরী