নগরীর আগ্রাবাদে গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে ঠিকাদার সমিতির অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে কথিত যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজের অনুসারীরা। এ সময় দুই জন আহত হন। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম (৩২) এবং সমিতির অফিসের এক কর্মচারীকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা এস এম পারভেজ (৩৬) আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির আবুল কাশেমের ছেলে। এ ঘটনায় জালাল (৩৫) ও সাকিব (২১) নামে দুজনকে আটক করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ‘গণপূর্ত অফিসের কম্পাউন্ডের ভেতরে ঠিকাদার সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এস এম পারভেজ নামে এক ব্যক্তির ইন্ধনে এ হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ১০ থেকে ১৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। হামলায় জড়িত জালাল (৩৫) ও সাকিব (২১) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঠিকাদার বলেন, এস এম পারভেজের অনুসারী সুমন ও জালালের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। মাসুম, তমাল, রিয়াজ, সায়েম, জিসানসহ আরও কয়েকজন হামলায় অংশ নেয়। এর আগে ২০২১ সালেও পারভেজ ও তার লোকজন গণপূর্ত ভবনে ঢুকে হামলা করেছিল। তখন ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এ ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে পারভেজ ও তার অনুসারীরা আর গণপূর্ত ভবনে আসতে পারেনি। তিন বছর পর আবার একইভাবে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে ঠিকাদারী ব্যবসায় তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।