সরকার হটাতে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তনে ১৪ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সাত দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ১৪ দফার আলোকেই এ জোট বিএনপির সাথে ‘যুগপৎ আন্দোলন’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে বলে জানান মান্না। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রের একটা কোয়ালিটেটিভ চেইঞ্জ চাই। এজন্য আমরা ১৪ দফা দিচ্ছি। আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না, প্রয়াত আকবর আলী খান বলেছিলেন যে, এই সংবিধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে একটা জার বা মোঘল সম্রাটের মতো ক্ষমতাশালী বানিয়েছে। এখন আমরা দেখছি তিনি তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী, উনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। এটা তো থাকতে পারে, সংবিধান সংশোধন করতে হবে…।
সেজন্য প্রশাসন ও সংবিধান ‘সংস্কার করতে হবে’ মন্তব্য করে মান্না বলেন, এ রকম করে সামগ্রিকভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, তার অর্থনৈতিক সচ্ছলতা নিয়ে আসার সবকিছু করবার জন্য আমরা মনে করি যে, এই রাষ্ট্রের প্রশাসন এবং আইনের বা সংবিধানের যথেষ্ট সংস্কার করতে হবে। খবর বিডিনিউজের।
গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফার মধ্যে সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নতুন নির্বাচন কমিশন তৈরি, খালেদা জিয়াসহ ‘রাজবন্দিদের’ মুক্তির পাশাপাশি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কার, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ আরও কিছু বিষয় রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেল, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর, রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাউয়ুম, ইমরান ইমন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ১৫ নভেম্বর এক বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্যের ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় বিএনপি।