বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত কোনো সরকারই জনগণের বা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতার জবাবদিহি করেনি বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম।
তিনি বলেছেন, আমাদের প্রায় সকল সমস্যার মূলে জবাবদিহিতাহীন সরকার ব্যবস্থা। শুধুমাত্র ফ্যাসিস্ট মাফিয়া শাসকদের সরানোর জন্য এতো মানুষ জীবন দেয়নি। মানুষ জীবন দিয়েছে এমন একটি ব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে যাতে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে আর কোনো শাসক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট, মাফিয়া ও জুলুমবাজ হয়ে উঠতে না পারে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আবু সাঈদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে আজ আমাদের একটি জবাবদিহিমূলক মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দরকার। এই গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সাংবিধানিক সংস্কার দরকার। আর সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য প্রয়োজন ৭০ সালের মতো সংবিধান (সংস্কার) সভার নির্বাচন। টেকসই সংস্কারের জন্য এর বিকল্প কিছু নেই। গতকাল নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সেমিনার রুমে ‘সংস্কার সংলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম এসব কথা বলেন। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে আয়েজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির চট্টগ্রাম জেলার রাজনৈতিক সমন্বয়ক আরমান হোসাইন সঞ্চালনা করেন। সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমন্বয়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ মহিউদ্দিন। সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শেখ নাসের, সাজ্জাদুল করিম রিংকু, জাবেদ আহমেদ, আসবাবীর রাফসান, রনি আনসারী, কাজী তমিজ উদ্দীন, দিদারুল আলম, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ ইসহাক, চট্টগ্রাম জেলা মুখ্য সমন্বয়ক এ এইচ এম শাহীন, মোজাম্মেল, আবসার উদ্দীন, গণতন্ত্র মঞ্চ চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, ডাক্তার জবিউল, সেলিম রেজা ও ভূলন ভৌমিক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার পর কোন সরকারই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাষ্ট্রের সংস্কার করেনি। এ জন্য আমরা বলতে চাই, সরকার গঠনের আগেই সংস্কার করতে হবে, পরে নয়। রাষ্ট্র ক্ষমতায় পুনরায় স্বৈরাচারী মনোভাবের কাউকে বসানো যাবে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, চলমান সিস্টেমের পরিধি আর বাড়ানো উচিৎ হবে না। সমাজে, দেশেরই সর্বত্র সাম্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই দেশে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। কৃষকের কথা ভাবতে হবে। কৃষক যদি প্রণোদনা না পায় বা কৃষক যদি মনের আনন্দে কাজ করতে না পারে তাহলে ক্ষতি সবার।