জানুয়ারি ১২ তারিখ শুক্রবার, তখন বিকাল ৩ টা। ঘটনাটি বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনির হিলভিউ এলাকার। বেশ কয়েকজন লোক এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পিস্তল, কিরিচ, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড, লাঠি ও মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিছিল নিয়ে বের করে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপর এলোপাতাড়ি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে বাধা দিলে পিস্তল দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি ফাঁকা ফায়ার করে দোকান পাট ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। একজনকে পায়ের রানে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে।
পরে উক্ত ঘটনায় বাদী আব্দুল আল মনির পিন্টুর (৩৩) লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় ১৮৬০ ধারায় মামলা রুজু হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন শাওন (২১) ও মোঃ শাকিল হোসেন প্রঃ রনিকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদ্বয়ের স্বীকারোক্তিমতে ঘটনার তারিখ ও সময় ঘটনাস্থলে প্রদর্শনকৃত ১টি সিলভার রংয়ের এ্যালমুনিয়ামের তৈরী খেলনা পিস্তল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
পরবর্তীতে রবিবার সারা রাত অভিযান পরিচালনা করিয়া অত্র থানাধীন বার্মা কলোনি এলাকা হতে এজাহার নামীয় অভিযুক্তসহ মামলার ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রকাশিত আরো ১৫ (পনের) জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বার্মা কলোনী সংলগ্ন ফাঁটা পাহাড় এর পাদদেশে মাটির নিচ হতে দশটি ধারালো কিরিচ উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।
অভিযুক্তদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। বর্ণিত অভিযুক্তরা এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও কিশোরগ্যাংয়ের সদস্য।
চাঞল্যকর অত্র মামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আকারে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার এবং প্রকাশ হয়। উক্ত অভিযুক্তদের কিশোরগ্যাংয়ের আধিপত্যের জন্য এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকটি অভিযুক্তের আতংকে ও ভয়ে থানা এলাকায় কেউ কোন মুখ খুলতে চায় না। তারা প্রতিবারেই জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়িত হয়। মামলার এজাহার নামীয় ৭ (সাত) জন ও মামলার ঘটনায় জড়িত তদন্তে প্রকাশিত ১০ (দশ) সহ মোট ১৭(সতের) জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে বায়েজিদ বোস্তামী থানা ওসি সনজয় কুমার সিনহা বলেন, থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস যাচাই করে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজী, বিস্ফোরক দ্রব্য, ডাকাতি প্রস্তুতি ও গণধর্ষণ মামলা রয়েছে।