অবশেষে খুলে দেয়া হলো চাক্তাই খালের কর্ণফুলী মোহনা এবং রাজাখালী খালের স্লুইচ গেট। ফলে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে চাক্তাই ও রাজাখালী খাল দিয়ে নৌপথে পণ্য পরিবহন। এতে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গতকাল দৈনিক আজাদীর প্রথম পাতায় ‘নৌপথে পণ্য পরিবহনে ধস’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের জেরে স্লুইচ গেট খুলে দেয়া হয়। স্লুইচ গেট বন্ধ থাকায় এতদিন চাক্তাই ও রাজাখালীতে ছোট নৌকা প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে পণ্য পাঠাতে গাড়ি ভাড়া করে কর্ণফুলী নদীর ঘাটে নিয়ে যেতে হতো। এবার সে ভোগান্তি কমেছে।
চাক্তাইয়ের আফরা ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আলাউদ্দিন আলো বলেন, স্লুইচ গেট খুলে দেয়ায় আমরা খুব খুশি। চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য। আমরা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) অনুরোধ জানাবো, তারা যেন কোনো কারণ ছাড়া স্লুইচ গেট বন্ধ করে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে। চাক্তাই ট্রেড এন্ড ফ্রেন্ডস এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসান খালেদ পারভেজ বলেন, স্লুইচ গেট খুলে দেয়ায় সিডিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি সিডিএ ব্যবসা বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় এমন কোনো কাজ ভবিষ্যতে করবে না। চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর আজম দৈনিক আজাদীকে বলেন, অবশেষে স্লুইচ গেট খুলে দেয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। স্লুইচ গেট বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এসএম হারুনুর রশিদ বলেন, স্লুইচ গেট করা হয়েছে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে যেন জোয়ারের পানি প্রবেশ না করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে স্লুইচ গেট বন্ধ রাখায় চাক্তাই রাজাখালী খাল দিয়ে কোনো নৌকা প্রবেশ করতে পারেনি। এখন স্লুইচ গেট খুলে দেয়ায় নৌকা প্রবেশ করছে এবং আগের মতো পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হয়েছে।