বান্দরবানের থানচিতে সাঙ্গু নদীতে নির্মিত সপ্তম সেতু খুলবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বলিপাড়া থেকে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া অভ্যন্তরীণ সংযোগ সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুক্ত করবে নতুন মাত্রা।
প্রকৌশল বিভাগ জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০ কোটি তের লাখ টাকা ব্যয়ে বলিপাড়া এলাকায় সাঙ্গু নদীর উপরে সপ্তম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। রেমসহ ২৫৩ মিটার সেতু নির্মাণ কাজ শেষের কথাছিল ২০২৩ সালের জুন মাসে। সেতুর এপ্রোচ সড়ক এবং রেমের কাজ চলমান রয়েছে। অপরদিকে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে হালিরাম পাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া চার কিলোমিটার সড়কসহ হালিরাম পাড়া খালের উপরে ছোট আরও দুটি সেতু নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দার থোয়াইচা মং, চসেসিং মারমা বলেন, বলিপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি আশপাশের পনেরটি পাহাড়ি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। সড়কটি চালু হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি গ্রামগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। খুলবে পর্যটন শিল্প ও কৃষি বান্ধব অর্থনীতির সম্ভাবনার দুয়ার।
উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করণের পথ তৈরি হবে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে গ্রামের সাধারণ পাহাড়ি। দ্রুত কাজটি শেষ করে সড়কটি চালুর দাবি জানাচ্ছি।
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং বলেন, বলিপাড়া হালিরামপাড়া হয়ে কেঁচো পাড়া সড়কটি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সড়কটি চালু হলে বদলে যাবে থানচি উপজেলার অন্তত পনেরটি গ্রামের পাহাড়িদের জীবনযাত্রা। খুলবে পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, বলিপাড়া এলাকায় নির্মিত সেতুটি হচ্ছে সাঙ্গু নদীর উপরে নির্মিত সপ্তম সেতু। পর্যটন শিল্পের বিকাশে সেতুটি আকর্ষণীয় ডিজাইন দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হচ্ছে। এটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের অগ্রাধিকার প্রকল্প ছিল। সেতু ও সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। খুব দ্রুত সেতুসহ সড়কটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।