দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ছে, তবে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদনে এবারও সায় দেয়নি সরকার। আগের মতই ঢাকার বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার এবং বিদেশে না যাওয়ার শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এখন পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে। খবর বিডিনিউজের।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকাল বুধবার সচিবালয়ের সাংবাদিকদের বলেন, শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদ এ পর্যন্ত সাতবার বাড়ানো হয়েছে। আবারো একই শর্তে তার সাজা স্থগিত রেখে তার মুক্তির আদেশ আরো ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এই মতামত দিয়ে ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। ওই বছরের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন।