নাইকো মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ও সম্মান নষ্ট করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়িত করা হয়েছে। গতকাল মামলাটির ১৩৩ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খালাস প্রদান করে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪ এর বিচারক রবিউল আলম। খবর বাসসের। পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক রবিউল আলম উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নাইকোর দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলাটি ২০১০ সালে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বাতিল হয়। অপরদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর যাবৎ চলমান ছিল, যা কোনভাবেই হওয়া উচিৎ হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ও সম্মান নষ্ট করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিগণকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় জড়িত করা হয়েছে। পুর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক উল্লেখ করেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ১৯৯৯ সালের ২৩ আগস্ট ছাতক, ফেনী এবং কামতার অ–উৎপাদনকারী প্রান্তিক গ্যাসক্ষেত্র থেকে হাইড্রোকার্বন উন্নয়ন ও উৎপাদনের সমীক্ষার জন্য বাপেক্স এবং নাইকো রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিঃ এর মধ্যে ফ্রেম ওয়ার্ক অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এফওইউ) চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।