দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠবের পর গতকাল সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
খালেদা জিয়া ২০২০ সাল থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত আছেন। এখন তাকে কোন প্রক্রিয়ায় ‘মুক্তি’ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সকল বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে, আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের সুচিকিৎসার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থানকে স্বাভাবিক করতে ও লুটপাট বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ করছি। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে অন্যান্য নানা বিষয়ের পাশাপাশি বলেন, ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া হত্যা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। দেশের সব অফিস আদালত আগামীকাল থেকে স্বাভাবিক সময়ে চলবে। দেশকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করতে হবে।