গাজার দক্ষিণের নগরী খান ইউনিস। উত্তর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিরা পালিয়ে এই নগরীতে জড়ো হওয়ায় সেখানে নেমেছে মানুষের ঢল। গাড়ি, ঘোড়া, ভ্যানে চড়ে কিংবা পায়ে হেঁটে যে যেভাবে পেরেছে সেভাবেই এখানে এসেছে। এসেই তারা দেখেছে মানুষের ভারে নুয়ে পড়া এক নগরীকে। যেখানে এক রাতেই জনসংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। জড়ো হওয়া লাখো লাখো মানুষের চাপ সামলাতে সেখানে নেই কোনও প্রস্তুতি। নগরীর প্রতিটি রাস্তাঘাট, প্রতিটি ঘর, আনাচে–কানাচে খালি মানুষ আর মানুষ। আর কোথাও যাওয়ার জায়গাও নেই।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গত শুক্রবারেই উত্তর গাজার ১১ লাখ বাসিন্দাদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। গাজা খুব ছোট একটি ভূখণ্ড। সব দিক দিয়েই অবরুদ্ধ। বহির্বিশ্ব থেকেও বিচ্ছিন্ন। সেখানে কারও পালিয়ে কোথাও আশ্রয় নেওয়ার জায়গা খুবই সীমিত। নিরাপত্তার কোনও নিশ্চয়তাও নেই। ফলে দিশেহারা গাজাবাসীদের অনেকেরই যাদের বাড়ি উড়ে গেছে বোমায়, যারা সবকিছু হারিয়েছে, যারা ভীত–শঙ্কিত তারাই এসে জড়ো হয়েছে খান ইউনিসে। এরপর তাদের ভাগ্যে কী ঘটতে চলেছে তা তারা কেউই জানে না।
খান ইউনিস নগরীতে সাধারণত ৪ লাখ মানুষের বাস। একদিনে সেখানে মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখেরও বেশিতে দাঁড়িয়েছে। বাড়তি এই সব মানুষ উত্তরের পাশাপাশি পূর্ব দিক থেকেও এসেছে। ২০১৪ সালের যুদ্ধে যারা ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হয়েছিল। এই প্রতিটি মানুষেরই দরকার আশ্রয়, খাবার। আর সেটা কতদিনের জন্য তাও তাদের জানা নেই।