খাদ্যমন্ত্রী হিসাব করে দেখালেন, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই

| মঙ্গলবার , ১৩ জুন, ২০২৩ at ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ

দেশের জনসংখ্যা আর চাল উৎপাদনের পরিসংখ্যান ধরে অংক কষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। গতকাল সোমবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ হিসাব দেন। বিকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। খাদ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১২২ অর্থবছরে ২০১ দশমিক ৮৬ লাখ টন বোরো, ৩০ দশমিক ০১ লাখ টন আউশ এবং ১৪৯ দশমিক ৫৮ লাখ টন আমন চাল উৎপাদন হয়। সেই সঙ্গে ১০ দশমিক ৮৬ লাখ টন গম মিলিয়ে মোট ৩৯২ দশমিক ৩১ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়। খবর বিডিনিউজের।

২০২২ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয়ব্যয় জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম (চাল ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম এবং গম ২২ দশমিক ৯ গ্রাম)। ২০২১২২ অর্থ বছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয় ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ টন (চাল ২০৩ দশমিক ৯৪ লাখ টন এবং গম ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ টন), যা ওই অর্থবছরের খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের চেয়ে কম।

মন্ত্রী বলেন, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ ধরে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৭ কোটি ১৯ লাখ। সে হিসাবে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হয় ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ টন। ২০২২২৩ অর্থ বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্ববর্তী ধারা যদি বজায় থাকে, তবুও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নাই, বলেন সাধন

চন্দ্র মজুমদার। তিনি জানান, ২০২২২৩ অর্থ বছরে সরকারিভাবে ৬ দশমিক ৩৪ লাখ টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ টন গম, অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৪ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ টন গম, অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজুর নির্দেশ আদালতের
পরবর্তী নিবন্ধরাউজান ও সীতাকুণ্ডে দুই নারীর লাশ উদ্ধার