খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের দাম কমায় বাড়তে থাকা সার্বিক মূল্যস্ফীতি গত এপ্রিলে কিছুটা কমলেও তা এখনও দুই অঙ্কের কাছাকাছি। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির যে হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসাবে এপ্রিল শেষে তা আগের মাসের চেয়ে ৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারিতে এটি ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিলে দেশে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত সেই পণ্য বা সেবা পেতে এ বছর এপ্রিলে ১০৯ টাকা ৭৪ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য বর্হিভূত মূলস্ফীতি কমার পুরো সুফল মেলেনি খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার অনেকটা বেড়ে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে। খাদ্যপণ্যে গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, যা মার্চ মাসের তুলনায় ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেশি। এর আগের মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যেটি ফেব্রুয়ারিতে ছিল আরও কম, ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।
তবে খাদ্যপণ্যে বাড়লেও এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আর ফেব্রুয়ারিতে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
আগের মাস এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমলেও গ্রামাঞ্চলে তা বেড়েছে। সেখানে মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা এপ্রিলে বেড়ে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে শহরাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। মার্চের ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশের চেয়ে তা এপ্রিলে কমে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বিবিএসের শহর ও গ্রামে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে ৩৯ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে মার্চের ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ থেকে ১৯ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ হয়েছে। শহরাঞ্চলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ২০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। মার্চের ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিলে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে এ সময়ে প্রায় ৬৯ বেসিস পয়েন্ট কমেছে মূল্যস্ফীতি। মার্চের ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ থেকে কমে এপ্রিলে ৯ দশমিক ০১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।