রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে কিনা তা দেখার উদ্দেশ্যে গতকাল দুপুরে ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন করেছে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় গঠিত বিভাগীয় কমিটির সদস্যরা। পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ এবং কমিটির অপর সদস্য জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফয়েজুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যরা হলেন কমিটির প্রধান বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী এবং যৌথ মুলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. হারুন অর রশিদ। পরে টিমের সদস্যরা চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস এবং উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগের কোয়ারেন্টাইন অফিসেও যান।
কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার পরিদর্শন করেছি। সেখানে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, এবার যথেষ্ট পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে। পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। রমজানে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এরপর আমরা গেছি চট্টগ্রাম বন্দরে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানালেন, বন্দরে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মার্চে খালাস করে ব্যবসায়ীরা নিয়ে গেছে। জানতে চাইলে চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি খাতুনগঞ্জ পরিদর্শনে এসেছে। তারা বাজারের সার্বিক অবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এবারের রমজানকে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমাণে ভোগ্যপণ্য আমদানি হয়েছে। দামও কমতির দিকে রয়েছে। আমরা ওনাদের আশ্বস্ত করেছি যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে, তাতে রমজানজুড়ে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
