খাগড়াছড়িতে প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী পার্বত্য আবৃত্তি উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। জেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় এবং ‘সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের’ আয়োজনে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। আবৃত্তির পাশাপাশি পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ছিল মনোমুগ্ধকর।
আবৃত্তি উৎসবে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামের আড়াই শতাধিক শিল্পীরা অংশ নেন। আয়োজকদের ধারণা, এই উৎসবের মাধ্যমে পাহাড় আর সমতলের আবৃত্তি শিল্পীদের একটি সম্প্রীতির মেলবন্ধন তৈরি হবে। এই উৎসবরে মধ্যে দিয়ে এই জেলার নতুন কবিদের অনুপ্রেরেণা যোগাবে, কবিতা পাড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। খবর বিডিনিউজের।
উৎসবে বাংলা কবতিার পাশাপাশি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তনচংগ্যা ও ও অহমিয়া ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করেন শিল্পীরা। উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজন্দ্রে লাল ত্রিপুরা। পার্বত্য আবৃত্তি উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন যুগ্ম–আহ্বায়ক সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী। সম্মিলিত আবৃত্তি জোট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুধীন কুমার চাকমা, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা, প্রগতি সংঘ–খাগড়াছড়ির সভাপতি মো. জান–ই আলম এবং আবৃত্তি জোটের সহসভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া।