খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচার এবং নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে জুম্ম ছাত্রজনতার ডাকা আধা বেলা সড়ক অবরোধ পালিত হয়েছে। অবরোধের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ঢাকা–খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি–রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি–সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধের সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
ভোরে অবরোধের সমর্থনে খাগড়াছড়ি–চট্টগ্রাম সড়কের চেঙ্গীব্রিজ এলাকা, স্বনির্ভর এলাকা, খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়কের পেরাছড়া, টেকনিক্যাল স্কুল, খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়কের চার মাইল, নয়মাইলসহ বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে টায়ার ও গাছের গুঁড়ি অপসারণ করে। চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি সড়কের গুইমারা মানিকছড়িসহ বিভিন্ন স্থানেও টায়ার জ্বালিয়ে এবং সড়কের পাশের গাছ কেটে পিকেটিং করা হয়। অবরোধের কারণে তিন সড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকে। অটোরিকশাসহ ছোট আকারের কিছু যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলেও তা ছিল পরিমাণে কম। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির সাপ্তাহিক হাট–বাজার হলেও তেমন দেখা যায়নি দূর–দূরান্ত থেকে আসা কোনো পাহাড়ি ক্রেতা ও বিক্রেতাকেও।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, মঙ্গলবার মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার দুপুরে শয়ন শীল (১৯) নামে এক তরুণকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা তিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি শয়ন শীলকে ৬ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত শয়ন শীলের বাবার মালিকানাধীন সেলুনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।