খাগড়াছড়ি থেকে দুই প্রতারক গ্রেপ্তার

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৬ মার্চ, ২০২১ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্পগ্রুপে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ চক্রের দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো হানিফ মিয়া প্রকাশ ডিপজল (৫০) ও শামসুল আলম (৪২)। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার সেজে এস আলম গ্রুপের পরিচালক পরিচয় দিয়ে একটি কোম্পানিতে ডিজিএম পদে কর্মরত এক ব্যক্তিকে এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার পদে চাকুরি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। চাকরির জন্য ঢাকায় ইন্টারভিউ দিতে হবে জানানো হয় ভিকটিমকে। কয়েকদিন পরে বিমান যোগে ঢাকায় যাওয়ার জন্য এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে ও জামাই দুইজন ইঞ্জিনিয়ারসহ ঢাকায় যেতে বিমানের টিকিটের টাকা দেওয়ার জন্য ভিকটিমকে কথিত বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তার বিকাশ নম্বর দেন ওই প্রতারক। এরপর কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ভিকটিমকে কোম্পানির জিএম পদের জন্য নির্ধারিত গাড়ি বন্দরে এসেছে বলে জানান। বন্দর থেকে গাড়ি খালাস করতে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলা হয় ভিকটিমকে। বিমানের টিকিট ও গাড়ি ছাড়ানোর কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে মোট ৮০ হাজার ৭০০ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। পরে ভিকটিম প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত ২৩ মার্চ কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তে নেমে প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকদের অবস্থান শনাক্ত করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমের এডিসি আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে বড় পড় পদে চাকরি দেওয়ার নামে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারক চক্রটি। আমরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছি। জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক ডিপজল গত বছর ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তখন বেঙ্গল গ্রুপের চেয়্যারম্যানের কণ্ঠ নকল করে লোকজনকে চাকুরি দেওয়া নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। পরে জামিনে বের হয়ে আবারো প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েছেন।’ তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উচ্চপদে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভনে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিং ও নগদে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আসামিরা স্বীকার করেছে। তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজানে দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের জন্য ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২৭.১২ কোটি টাকা