খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গুগড়াছড়ি ধর্মসুখ বৌদ্ধ বিহারে এক ভিক্ষু খুন হয়েছেন। গতকাল রবিবার(৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে সদর উপজেলার সদর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ধর্মসুখ বৌদ্ধ বিহারের ভিতরে এই ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার(৩১ জানুয়ারি) সকালে ভিক্ষু বিশুদ্ধ মহাথেরোর মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহম্মদ রশীদ।
তিনি আরো বলেন, “ভিক্ষুটির শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিক্ষুটি রাতের বেলায় বিহারের ভিতরে একাই থাকতেন সবসময়। কালকে রাতেও তিনি একাই ছিলেন। সাথে কেউ ছিল না। ভোর রাতে তাকে এক মহিলা ছোয়াইং(ভিক্ষুদের খাবার) দিতে গেলে কক্ষের ভিতরে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে খাবার রেখে তিনি বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীকে খবরটি জানালে পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা এলাকার সবাইকে বিষয়টি জানান।
খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আম্রে মারমা বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় বিহারে প্রার্থনা শেষে পুণ্যার্থীরা চলে আসেন। রাতের কোনো একসময়ে দুর্বৃত্তরা ভিক্ষুকে খুন করে পালিয়ে যায়। ভিক্ষুর শয়নকক্ষের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে।”
ইউপি সদস্য আনুমং মগ জানান, “ভান্তে একা থাকার কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে মেরে চলে যায়। এটা যারা করেছে তারা আগে থেকে পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।”
ভান্তের ছোট ভাই ক্যাচিং মারমা বলেন, “আমার ভাইকে রাতের আঁধারে মেরে বিহারের ভিতরে রেখে চলে গেছে। আমার ভাইয়ের কী অপরাধ? এটার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে চুরি করার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা বিহারে প্রবেশ করেছে। ভিক্ষু তাদেরকে চিনে ফেলায় খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবগুলো বিষয়কে মাথায় রেখে তদন্ত করছি। হত্যাকারীদের ধরার জন্য পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।”