পাচার করার সময় খাগড়াছড়ি থেকে ৬ বিপন্ন হিল বা পাহাড়ি ময়না উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে খাগড়াছড়ি বাস স্টেশন এলাকা থেকে বিপন্ন প্রজাতির এসব পাখি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা। তিনি বলেন, একটি চক্র বিপন্ন প্রজাতির হিল বা পাহাড়ি ময়না খাগড়াছড়ি থেকে ফেনীতে পাচার করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে ফেনীগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে বাচ্চাসহ ৬টি হিল ময়না উদ্ধার করি। বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। ময়নাগুলো উদ্ধার করে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, হিল ময়নাসহ যে কোনো বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বন বিভাগ কাজ করছে। গত ৪ বছরে বিপন্ন প্রায় লজ্জাবতী বানর, গয়াল, বন বিড়াল, মায়া হরিণ, তক্ষক, হিল ময়না ৩১ টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত করেছে খাগড়াছড়ি বন বিভাগ।
পাহাড়ি ময়নার বৈজ্ঞানিক নাম গ্রাক্যুলা রিলিজিওসা। রিলিজিওসা শব্দের অর্থ সুন্দরের দ্যোতক। ময়নার গায়ের পালক উজ্জ্বল কালো। রোদের আলোয় কালো রং চকচক করে। তার ওপর কিছুটা সবুজ ও বেগুনি আভা। ময়নার মাথার পেছনের হলুদ আবরণে ডাকা ত্বক। এই যেন রূপসীর গয়না বা কণ্ঠহার। বাসন্তি রঙের ঠোঁট। ডানার বড় পালকের আড়ালে কয়েকটি সাদা পট্টি থাকে। ময়নার পা ধবধবে হলুদ। এরা সাধারণত বৃক্ষের উঁচু উঁচু ডালে থাকতে পছন্দ করে। লম্বায় দশ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। হিল ময়না ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সংরক্ষিত।