খাগড়াছড়িতে পাহাড় কাটা ও বন উজাড় বন্ধ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার একাধিক সুপারিশ করেছে জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ও পরিবেশবাদীরা।
গত রোববার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে জেলা সদর, দীঘিনালা, রামগড়, মাটিরাঙাসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা হয়। পাহাড় কাটার পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বন ধ্বংস ও অবাধে শিকারের কারণে মায়া হরিণ,ধনেশসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে সভায় অভিযোগ করা হয়।
পরে জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন , পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহৃত ভেকু বা স্কেভেটর নিয়ন্ত্রনের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করা হবে। রাতের বেলায় স্কেভেটর চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে জেলার সকল ভেকু বা স্কেভেটারকে নিবন্ধনের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। বন উজাড় ঠেকাতে ইটভাটা ও তামাকচুল্লিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ও শিকার বন্ধ করার জন্য সাপ্তাহিক হাঁটগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.ফরিদ মিঞা,খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আফসার ,দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ,রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফেরিন,সাংবাদিক সমির মল্লিক প্রমুখ ।