কবরস্থান ও মাদ্রাসার পাশের ভবনে ফ্ল্যাট ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রি। পুলিশের নজর এড়াতে এ কৌশল। গত শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পাঁচশাইশ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বহদ্দারহাটের খতিবেরহাটে উক্ত মদের কারখানা আবিষ্কার করেছে। জব্দ করা হয়েছে মদ তৈরির উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ। এসময় মদ ব্যবসায়ী ও কারিগরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন, উচিং থোয়াই মারমা (৪৪), মাসাং মারমা (৪০), উথোয়াইচিং মারমা (৩৩), মেতু মারমা (৪০), আছেমা মারমা (৩০), ইসাইমং মারমা (২০)। ৬ জনই রাঙামাটির বাসিন্দা।
সিএমপি উত্তর বিভাগের এডিসি আবু বকর সিদ্দিক আজাদীকে বলেন, পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর অধিবাসীরা তাদের স্বাভাবিক পানীয় হিসেবে এক ধরনের চোলাই মদ তৈরি করে সেটা গ্রহণ করে। সেটা তাদের জীবনযাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু একশ্রেণির বিক্রেতা তাদের কাছ
থেকে মদ সংগ্রহ করে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় এনে বিক্রি করে। আবার অনেক পাহাড়িও তাদের তৈরি মদ চট্টগ্রামে এনে সরবরাহ করে। কিন্তু পাহাড় থেকে এভাবে মদ আনতে গেলে অনেক সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ঝামেলা এড়াতে তারা চট্টগ্রাম শহরেই ফ্ল্যাট ভাড়া করে মদের কারখানা গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, খতিবের হাটে চোলাই মদের কারখানা আবিষ্কার ও মদ তৈরির উপকরণসহ বিপুল পরিমাণ চোলাই মদ জব্দ করা হয়েছে। এ কাজে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খতিবেরহাট এলাকায় মসজিদের পশ্চিম পাশে কবরস্থান ও মাদ্রাসার পেছনে একটি পাঁচ তলা ভবনের পঞ্চম তলায় দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৭০৬ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবির আজাদীকে বলেন, ১ বছর ধরে মদ তৈরি করে আসছে তারা। ওই এলাকায় মানুষের চলাচলও বেশি ছিল। কবরস্থান ও মাদ্রাসার পাশের ভবন হিসেবে পুলিশকে ফাঁকি দেয়ার জন্যই তারা ফ্ল্যাটগুলো বেছে নিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, তৈরিকৃত মদ পলিথিন ও স্যালাইনের ব্যাগে করে নগরীর লালখান বাজার, চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করা হতো। ফ্ল্যাট দু’টিতে কয়েক ড্রামে মদ তৈরির উপকরণ পাওয়া গেছে। এছাড়া অভিযান শুরুর পর কয়েক ড্রাম তৈরি চোলাই মদ বাথরুমের কমোড দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।