ক্ষুধার সূচকে বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তানের পেছনে ভারত

| রবিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২১ পূর্বাহ্ণ

ভারত চলতি বছর বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে ছয় ধাপ নেমে ১২১ দেশের মধ্যে ১০৭তম হয়েছে । গত বছর দেশটি এ তালিকায় ১১৬ দেশের মধ্যে ১০১ নম্বরে ছিল। এবারের তালিকায় দেশটি বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানের পেছনে আছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
গতকাল শনিবার ক্ষুধা ও অপুষ্টির খোঁজখবর রাখা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকের (জিএইচআই) ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ৫ এর কম স্কোর নিয়ে চীন, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, রুমানিয়া, তুরস্ক, বেলারুশ ও কুয়েতসহ ১৭টি দেশ চলতি বছরের তালিকার শীর্ষস্থান ভাগাভাগি করে নিয়েছে। তাদের পরে আছে কোস্টারিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল আর উজবেকিস্তান। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৬৪, নেপাল ৮১, বাংলাদেশ ৮৪ আর পাকিস্তান তালিকার ৯৯ নম্বরে অবস্থান করছে। খবর বিডিনিউজের।
গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) তৈরি হয়েছে চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের পরিস্থিতি বিচার করে। অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার- এই চারটি মাপকাঠিতে প্রতিটি দেশের স্কোর হিসাব করা হয়েছে ১০০ পয়েন্টের ভিত্তিতে।
ভারতীয় কংগ্রেস এমপি পি চিদাম্বরম এই তালিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের ৮ বছরে (ক্ষুধার সূচকে) আমাদের অবস্থান ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। অপুষ্টি, ক্ষুধা, শিশুদের বিকাশে বাধা ও তাদের দুর্বল হয়ে পড়ার মতো সত্যিকারের ইস্যুগুলোতে কখন মনোযোগ দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী?
আইরিশ দাতা সংস্থা করসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মান প্রতিষ্ঠান ওয়েল্ট হুঙ্গার হেলফের (ডব্লিউএইচএইচ) যৌথভাবে তৈরি করা এবারের প্রতিবেদনে ভারতে ক্ষুধার মাত্রাকে ‘গুরুতর’ অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় ক্রমাগত নিচে নামলেও ভারতের জিএইচআই স্কোর কমছে। ২০০০ সালে এই স্কোর ছিল ৩৮ দশমিক ৮, ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত এটা ২৮ দশমিক ২ থেকে ২৯ দশমিক ১ এর মধ্যে আছে। গত বছরের তালিকায় ১০০-র নিচে নেমে যাওয়ার পর ভারত সরকার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ‘জঘন্য’ ও ‘বাস্তবতা বিবর্জিত’ অ্যাখ্যা দিয়েছিল। যে পদ্ধতিতে ক্ষুধা সূচকে অবস্থান নির্ধারণ করা হয় তাকে ‘অবৈজ্ঞানিকও’ বলেছিল তারা। নয়া দিল্লির এ ভাষ্য উড়িয়ে দিয়েছিল ডব্লিউএইচএইচ। জাতিসংঘে ভারত সরকারের দেওয়া তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করেই দেশটিতে অপুষ্টির মাত্রা বের করা হয়েছে, সেসময় ইমেইলে এনডিটিভিকে দেওয়া এক উত্তরে এমনটাই বলেছিল তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহবাগে বিক্ষোভ হুম্মামের বিচার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধসৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা না দেওয়ার ঘোষণা বায়রার