ক্ষমতায় গেলে মিলেমিশে দেশ পরিচালনা করব : তারেক রহমান

| বুধবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৫ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

জনরায় পেলে বিএনপি ‘মিলেমিশে’ দেশ পরিচালনা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ঢাকায় এক যুব সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ফ্যাসিবাদের দেড় দশক পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইনশাল্লাহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল নারীপুরুষছাত্রতরুণযুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমার আহ্বানআগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন দেশ গড়ার সুযোগ দিন। খবর বিডিনিউজের।

জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন গেল ৫ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। পরের দিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে।

গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশচীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত যুব সমাবেশে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা চেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যারা আমার নেতাকর্মীরা আছেন, যারা সংবাদকর্মী আছেন তাদের মাধ্যমে আমি দেশের সকল মানুষের কাছে এতটুকু বলতে চাইভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়বো মিলেমিশে।

জাতীয়তাবাদী যুব দলজাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলজাতীয়তাবাদী ছাত্র দলএই তিন সংগঠন যৌথভাবে ‘যুব সমাবেশের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজন হয়।

প্রযুক্তিনির্ভর যুব সমাজ গড়ে তুলতে দলের ‘কর্মপরিকল্পনা’ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে আগামী দিনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মের ব্যবস্থা করা এটাই আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য। জনগণ প্রচলিত রাজনীতির ‘পরিবর্তন’ চাইছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের যে আকাক্সক্ষা এই আকাক্সক্ষা পুরণে আর প্রতিশ্রুতি নয়, এবার হবে প্রতিশ্রুতির ‘বাস্তবায়ন’। এই কারণে প্রতিটি খাতে পরিকল্পনাগুলো কীভাবে বাস্তায়ন করা যায় তা নিয়ে বিএনপি পরিকল্পনার কাজ করছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকের এই যুব সমাজের মাধ্যমে দেশের তরুণ যুবশক্তির কাছে আমার আবেদন, আপনারা বিএনপির জনমুখী, গণমুখী কর্মপরিকল্পনাগুলো দেশের সকলের সামনে, জনগণের সামনে তুলে ধরুন। জনগণের রায়ে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সামনের দিনে আমরা এই পরিকল্পনাগুলো পর্যায়ক্রমে ইনশাল্লাহ বাস্তবায়ন করব।

তারেক বলেন, সাধারণভাবে একটা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন কর্মক্ষম শ্রমশক্তি থাকে, সেটি হল কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিবেচনায় দেশের বর্তমান জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। কারণ বয়সের হিসাবে আমাদের জনসংখ্যার অধিকাংশই কিন্তু কর্মক্ষম। শুধু এই জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে আমাদের রূপান্তর করা প্রয়োজন। এ কারণেই বিএনপি মনে করে যে, দেশের জনসংখ্যাকে বিশেষ করে তরুণ এবং যুবশক্তিকে কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলা যায় তাহলে বর্তমান জনসংখ্যা দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে। দেশের এই কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে একদিকে যেমন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় গড়ে তুলতে আমরা আগ্রহী, ঠিক একই সঙ্গে তরুণ যুবকদের আগ্রহী একটি অংশকে খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জন করানো প্রয়োজন।

নতুন কুড়ি’ এর প্রসঙ্গ ধরে তিনি বলেন, যুবকদের মধ্যে প্রযুক্তি জ্ঞানের পাশাপাশি একটি অংশ আছে যারা খেলাধুলা নিজেদেরকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে চান আমাদেরকে সেই সুযোগটা দিতে হবে। এর ভিতরে আমরা একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেই পরিকল্পনাটা হচ্ছে ‘নতুন কুড়ি’ আমরা ইনশাআল্লাহ আবার চালু করবো। নতুন কুড়ির আরেকটি বিষয় আমরা চালু করবো, এতে ক্রীড়াও থাকবে। খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ক্রীড়া শিক্ষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার কথাও বলেন তারেক রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধঅলিগলি থেকে রাজপথ ব্যাটারি রিকশার দাপট