বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলপিজি সোফিয়া জাহাজের আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। দুর্ঘটনার সময় প্রাণ বাঁচাতে জাহাজ থেকে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া নাবিকদের সবাই গতকাল জাহাজে উঠেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটিকে নিরাপদ স্থানে নোঙর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিরাপদে নোঙর করার পর জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করা হবে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম নৌ বাণিজ্য দপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, জাহাজের নাবিকেরা অনবোট হয়েছেন। জাহাজটিকে নিরাপদে নোঙর করার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শুরুতে জাহাজটি পুরোপুরি নিরাপদ হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হতে হবে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় জাহাজটির ইঞ্জিনে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। জাহাজটির সব গ্যাস পুড়ে গেছে নাকি ট্যাংকে কিছু অবশিষ্ট আছে তাও পরীক্ষা–নিরীক্ষা করতে হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির সদস্যরা গতকাল বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ দুটি পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, শনিবার মধ্যরাতে কুতুবদিয়ার অদূরে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন এলপিজি সোফিয়া এবং মাদার ভ্যাসেল ক্যাপ্টেন নিকোলাসে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ক্যাপ্টেন নিকোলাসের ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও এলপিজি সোফিয়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জাহাজটি থেকে সাগরে ঝাঁপ দেওয়া ৩১ নাবিককে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের অপর একটি জাহাজ উদ্ধার করে।