চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন বিআরটিসির ৬৮টি বাস (দ্বিতল বাসসহ) চলাচল করলেও অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরে এখন অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) থেকে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিআরটিসির ৯টি গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক ক্ষয়–ক্ষতি হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। যার কারণে এখন চট্টগ্রাম থেকে অনেক রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
আগুনে এবং ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মেরামত করে যাত্রীসেবা সচল রাখার চেষ্টা করছে বিআরটিসি।
নগরের অক্সিজেন–হাটহাজারী সড়কের নতুনপাড়া এলাকায় বিআরটিসি চট্টগ্রামের বাস ডিপো অবস্থিত। এখন প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এবং নগরীতে ৪১টি বাস চলাচল করছে বলে জানান বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন সূত্রে (বিআরটিসি) জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন ১৩টি রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করে। রুট গুলো হল–চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকা, চট্টগ্রাম–বহদ্দারহাট–বোয়ালখালী উপজেলা, চট্টগ্রাম–নতুনব্রিজ–পটিয়া হয়ে চন্দনাইশ উপজেলা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টাফ বাস, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়–চট্টগ্রাম স্টাফ বাস, চট্টগ্রাম–ঢাকা, চট্টগ্রাম–রাঙামাটি, চট্টগ্রাম–খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম–তবলছড়ি, চট্টগ্রাম–সিলেট, চট্টগ্রাম–সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম–কোম্পানীগঞ্জ।
এই ব্যাপারে বিআরটিসি চট্টগ্রাম বাস ডিপোর ম্যানেজার মো. জুলফিকার আলী আজাদীকে বলেন, আমাদের ৯টি গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৪টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে, ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। নগরীতে ১০টি দ্বিতল স্কুল বাসের মধ্যে ১টি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং পর্যটক বাস ২টি ভাঙচুর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে তবলছড়ি রুটের ১টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। এতোদিন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো পুলিশ হেফাজতে ছিল। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) কোর্ট থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। আমরা চেষ্টা করছি ক্ষতি পুষিয়ে গাড়িগুলো মেরামত করে সবগুলো রুটে আগের মতো সার্ভিস ঠিক রাখার জন্য।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে ৬৮টি বিআরটিসি বাস চলাচল করত। এখন ৪১টির মতো চলে। যেগুলো চলছে তাতে যাত্রী একেবারেই কম। আমাদের এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি স্টাফ বাস চলে, এখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় এই বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। নগরীর স্কুলগুলোতে এখন ছাত্রছাত্রী কম–এজন্য সব বাস লাগছে না। এখন চট্টগ্রাম– থেকে সুনামগঞ্জ রুটে ২টি, খাগড়াছড়ি রুটে ১টি এবং তবলছড়ি রুটে ১টি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।