ক্ষতবিক্ষত হয়েও বাঙালি কখনো অধিকারের বিষয়ে আপস করেনি

অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগমের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

| রবিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবাধিকার এবং ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন। যার জন্য আমরা অনেক বেশি ভুক্তভোগী। অনেক বেশি ক্ষতবিক্ষত হয়েও বাঙালি কখনো অধিকারের বিষয়ে আপস করেনি। আপোষ না করার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে গর্বিত। আজকে গ্লোবাল কমিউনিটি বলে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কেস স্টাডি।

গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর জামালখানস্থ সিনিয়রস ক্লাবে বিশ্বের ২২টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম রচিত ‘বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের দেশ। এইদেশ অর্জন করার জন্য অনেক ত্যাগতীতিক্ষা স্বীকার করতে হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত এবং অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যারা আজকে মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলেন তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শাহ এম এস কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা এবং আজকের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এটাই কি ছিল তাদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার?

এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আজকে যখন ফিলিস্তিনে যুদ্ধ চলছে তখন আমাকে আর কাউকে বলে দিত হয় না মানবাধিকারের কথা। যখন সারা বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার মতো মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তখন ‘বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হল। গবেষণালব্দ এই বইয়ে মানবাধিকারের বহু সৃজনশীলতা ও সৃষ্টিশীলতা লিপিবদ্ধ করা আছে। এই বইয়ের লেখক প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম আমাদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মতো গর্বিত সন্তানের গর্বিত মাতা। পৃথিবীর ২২টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তার রচিত বইয়ে নিশ্চয়ই আমরা অনেক দিক নির্দেশনা পাব। লেখকের অভিজ্ঞতার আলোকে জ্ঞানগর্ভ এবং গবেষণালব্দ থেকে প্রণিত এই বইটি আমাদের জন্য নতুন কিছু করার জন্য সুযোগ এনে দিবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ.এস.এম বজলুর রশিদ মিন্টু, অ্যাডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, চবি শিক্ষক ড. জিনবোধি ভিক্ষু, এডভোকেট আবু মো. হাশেম, লেখকের সন্তান খালেদ মাহমুদ, অধ্যাপক নুরুল আনোয়ার, এডভোকেট এম এ নাছের চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব সাদাছড়ি দিবস আজ
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬