ক্লাসিক্যাল তবলা স্টুডেন্ট’স ফোরাম বাংলাদেশের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘তবলা তরঙ্গিনী’ শীর্ষক অনুষ্ঠান গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। তবলাগুরু পন্ডিত বিজন কুমার মজুমদারকে অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্ত। অতিথি ছিলেন সরকারি চারুকলা কলেজ চট্টগ্রামের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রিতা দত্ত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক পুলিশ) দেবব্রত কর দেবু, সঙ্গীতশিল্পী রিয়াজ ওয়ায়েজ। সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তবলাশিল্পী পলাশ দেব। ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী অনয় চক্রবর্তী। সংবর্ধিত ব্যক্তি হিসেবে সম্মাননা গ্রহণ করেন গীতধ্বনি সঙ্গীত নিকেতনের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী প্রয়াত কিরীটি রঞ্জণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. রজত কুমার বিশ্বাস, আর্য্য সঙ্গীত সমিতি চট্টগ্রামের প্রশিক্ষক প্রদীপ দাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তিশিল্পী প্রবীর পাল। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত পরিবেশন করেন (কন্ঠ) ফাল্গুণি বড়ুয়া অলি, শ্বাশত বিশ্বাস। সমবেত তবলা লহড়া পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেন সপ্তদীপ্ত বড়ুয়া, দেবব্রত সেন, সৌম্য পাল, সৌমিত্র বড়ুয়া, সৌম্য সরকার। উচ্চাঙ্গ নৃত্য পরিবেশন করেন চয়ন দেবনাথ, রাইমা দাশ, আয়েশা আকতার। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত ও নৃত্যে তবলা সঙ্গতে ছিলেন পলাশ দেব, রাজীব চক্রবর্তী, অনয় চক্রবর্তী, অর্ক বড়ুয়া, অনিন্দ্য দে, মো. হোসাইন চিশতী, হারমোনিয়ামে ছিলেন শিল্পী রাজেশ সাহা, মো. সাজ্জাদ হোসেন, কি বোর্ডে তপন নয়ন আচার্য্য, তানপুরায় সম্পদ বড়ুয়া, সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন পলাশ দেব, নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন হিল্লোল দাশ সুমন প্রমুখ। সমন্বিত যন্ত্রসঙ্গীত সুরঝংকারে অংশগ্রহণ করেন ফোরামের সদস্য শিল্পীবৃন্দ। সভায় অতিথিরা বলেন উচ্চাঙ্গসংগীতের সঠিক অনুশীলনই পারে একজন শিল্পীকে পরিণত এবং পরিশুদ্ধ শিল্পীতে রূপান্তর করতে। উচ্চাঙ্গসংগীতের যতবেশি প্রসার ও চর্চা হবে ততবেশি সঙ্গীতের অনুশীলনী বেগবান হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।