এখন থেকে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংকগুলো কোনো অবস্থাতেই ২০ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক সার্কুলারে ক্রেডিট কার্ডের সুদ হার নির্ধারণ করে দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। বিডিনিউজ
ক্রেডিট কার্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাংলাদেশেও তবে এর সুদের হার নিয়ে চলছিল অসন্তোষ।
এমন অবস্থায় সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ঐ সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ক্রেডিট কার্ড বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়েছিল, ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অন্যান্য ঋণের সুদের সর্বোচ্চ সুদহারের চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি হবে না এবং এই সুদহার কেবল মাত্র অপরিশোধিত বকেয়া স্থিতির উপর প্রযোজ্য হবে।
ঐ নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডে নির্ধারিত সীমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ আগাম হিসেবে নগদ উত্তোলন করা যাবে এবং ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে গ্রাহককে কোনো আনসলিসিটেড ঋণ বা অন্য কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না।
কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কোনো কোনো ব্যাংক উক্ত নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন প্রকার নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দিচ্ছে যা ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে এবং এ ধরনের ঋণের ওপর ফ্ল্যাট রেটে অযৌক্তিকভাবে বেশি সুদ আরোপ/আদায় করছে যা গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করছে।
এছাড়া কোনো কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধ না করা বিলের ওপর লেনদেনের তারিখ থেকেই সুদ আরোপ এবং পরিশোধ না করা বিলের বিপরীতে ‘প্রগ্রেসিভ রেটে’ বিলম্ব ফি আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, এ অবস্থায় ক্রেডিট কার্ড লিমিটের বিপরীতে ঋণ সুবিধাসহ সুদ/মুনাফা যৌক্তিকীকরণ এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- ক্রেডিট কার্ডের সুদ/মুনাফার ওপর ২০ শতাংশের বেশি সুদ নির্ধারণ করা যাবে না।
- ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পরের দিন থেকে বিলের ওপর সুদ/মুনাফা আরোপ করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা যাবে না।
- বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো নামে নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
- বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে শুধু একবার বিলম্ব ফি (অন্য যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেনো) আদায় করা যাবে।
এছাড়া আগের নীতিমালার অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।