গত দেড় বছর ধরে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি। টাইগাররা সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০২৪ সালের মার্চে। দেশের মাটিতে ৩ ম্যাচের সিরিজটি বাংলাদেশ ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তারপর থেকে টানা ৪ সিরিজ পরাজয় সঙ্গী টাইগারদের। ২০২৪ সালের নভেম্বরে আরব আমিরাতের শারজায় আফগানিস্তানের কাছে ৩ ম্যাচের সিরিজ হার (২–১)। এরপর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ক্যারিবীয়দের কাছে ৩ ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই। আর এ বছরের জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কার মাটিতে লঙ্কানদের কাছে ২–১’এ সিরিজ হার। আর সবশেষ এবার আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আফগানিস্তানের কাছে ৩–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। এই যে সিরিজের পর সিরিজ হার, সেটা থেকে কি এবার বেরিয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেছে। শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২৮.১ আর ২৭.৩ ওভারে অলআউট হওয়া, শেষ খেলায় ২০০ রানে হার মানা, এবং সেই ২০১৮ সালের পর প্রথম ১০০’র নিচে (৯৩ রানে) অলআউট হওয়ার মতো ন্যাক্কারজনক ব্যর্থতার নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। সেই খাদের কিনারা থেকে এবার ফিরে আসতে চায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ থেকে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে যে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হচ্ছে তাতে কী করবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল? হারতে হারতে তলানিতে গিয়ে ঠেকা টাইগাররা কি এবার জয়ের পথ খুঁজে পাবে? হারের দগদগে ঘা গায়ে মেখে কি শাই হোপের দলকে হারানো সম্ভব? সিরিজ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে মিডিয়ায় কথা বলতে এসে আশার বাণী শুনিয়ে গেলেন হেড কোচ ফিল সিমন্স। আফগানদের সঙ্গে তার দলকে যতটা দুর্বল, কমজোরি, ভাঙাচোরা, জীর্ণ–শীর্ণ মনে হয়েছে, আসলে তারা তত খারাপ না। কথা–বার্তায় পরিষ্কার, ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত ও ভালো খেলায় অনুপ্রাণিত করতে গিয়ে টাইগার হেড কোচ এই কথাটিই মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। সিমন্স ক্রিকেটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন খারাপ দিনের কথা ভুলে গিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে এবং পেছনে না তাকিয়ে সামনের ম্যাচ নিয়ে নিয়ে ভাবতে হবে। তার ওপরই মনোযোগ দিতে হবে। টাইগার হেড কোচ বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, তার দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হাই–কোয়ালিটি স্পিন খেলেছে। সেখানে সিরিজও জিতেছে। তাই ক্রিকেটারদের অতীতের ভালোটুকুই নিতে হবে। সিমন্স বলেন আমরা সমপ্রতি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলেছি, তাদেরও শীর্ষ মানের স্পিনার আছে। আর আমরা তাদের সঙ্গে ভালো খেলেছি। তাই এটি নিশ্চিতভাবেই মানসিক দিক।