ক্রাশ! একটি সর্বনাশা রোগ

মুহাম্মদ আরফান ক্বাদেরী | মঙ্গলবার , ১৯ জুলাই, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ক্রাশ! এমন একটি রোগ যেটাতে বাড়ে ডিপ্রেশন। এক কথায় গ্যাস্ট্রিকে মতো প্রতিটি মানুষে অন্তরে ছেঁয়ে গেছে। বিশেষ করে যুবক-যুবতীর। একশ্রেণির তরুণ-তরুণী মনে করে মানুষ একে অপরকে দেখে ক্রাশ খায়। খেতেই পারে। স্বাভাবিক তবে এরা হয়তো জানে না এ স্বাভাবিকের পরিস্থিতি কতটা অস্বাভাবিক হতে পারে। গবেষণা দেখা গিয়েছে জীবনে সেরা মহূর্তটাকে উপভোগে সময়ে মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে, যেটা বেশির ভাগই আপন ক্রাশের আসক্তিতে। অতিষ্ঠ হাজারো যুবক-যুবতী।

কেননা যে মানুষটি একবার অন্যজন্যের প্রতি ক্রাশ খায়। সে মানুষটি শত-হাজার মানুষের উপর ক্রাশ খেতে পারে। কারণ এটা স্বাভাবিক। একে-অপরকে আর ভালো নাও লাগতে পারে। তাই কিছুদিন যেতে না যেতে ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে রুমমেট নামে নষ্টামিতে ডাকে বারবার। আর আমরাও আকর্ষণে এতটা মাতুয়া হয়ে যাই। ক্রাশকে খুশি রাখতে নিজে অস্তিত্ব বিলীন করে দেয়। যা বলাবাহুল্য। কতটুকু ক্রাশে কতটুকু ইজ্জত নষ্ট করতে পারে সেটা সোশ্যাল মিড়িয়া না দেখলে বুঝা মুশকিল হত।

এক তো নিজের আত্মসম্মান মযার্দা বিসর্জন দিয়ে নিজের চরিত্রকে নষ্ট করছে। অন্যদিকে পরিবারের মানইজ্জত (মা-বাবার) হাজারো কষ্টে লালিত স্বপ্ন কলঙ্কে মুখ ঢাকছে।

আমরা যুবক আমাদের মনে রাখতে হবে। যে নারী-পুরুষে আসক্তিতে নিজেকে ধ্বংস করছি সে নারী-পুরুষ আমাদের কল্যাণ বদলে জীবনে দুঃখ দুর্দশার বয়ে আনবে। তাই যৌবনে তাড়াহুড়ো করতে নেই। কারণ আমার ঘরেও ভাই বোন আছে। আমি যেভাবে অন্য মেয়ের প্রতি আচরণ করছি হয়তো আমার বোনও অন্য আরেক ছেলের প্রতি একি আচরণ করছে। সুতরাং ক্রাশ নামক ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে চক্ষু নিয়ন্ত্রণ কর, কেন না চক্ষু নিয়ন্ত্রণ ছাড়া পাপ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচসিকের কর মূল্যায়ন প্রসঙ্গে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধটিকটক যখন মৃত্যুর কারণ