ক্রাইস্টচার্চে সবুজ ও বাউন্সি উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিউজিল্যান্ডের উইকেট মানে সবুজ গালিচা। যেখানে ফাস্ট বোলারদের বল চলে যাবে ব্যাটসম্যানের কানে হাওয়া লাগিয়ে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টের উইকেটে তেমনটি দেখা যায়নি। বলা যায় স্পোর্টিং উইকেটই ছিল। তাইতো প্রথম টেস্ট শুরুর আগে টিভিতে আলোচনায় ধারাভাষ্যকাররা বলছিলেন, নিউজিল্যান্ডে এত কম ঘাসের উইকেট গত কয়েক বছরে দেখিনি। খেলা শুরুর পর দেখা যায় উইকেট ছিল বেশ মন্থর। আর তাতেই বাংলাদেশ ফায়দা নেয় দারুণভাবে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটসম্যানদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে অলআউট করার পর ব্যাটিংয়ে অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখায় বাংলাদেশ। তরুণ ও অনভিজ্ঞ টপ অর্ডার প্রবল প্রতিরোধ গড়ে নিউজিল্যান্ডের ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের সামনে। ১৭৬.২ ওভার উইকেটে কাটিয়ে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। উপমহাদেশের বাইরে যা তাদের সবচেয়ে বেশি ওভার ব্যাটিংয়ের েেরকর্ড। দুইশর বেশি বল খেলেন দুজন ব্যাটসম্যান । দেড়শর বেশি খেলেছেন একজন। একশর বেশি খেলেছেন আরেকজন। দুজন খেলেন আশি বলের বেশি। ১৩০ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ প্রচন্ড চাপে ফেলে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। দেশের মাঠে কিউইদের যে পেস আক্রমণ বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানদের মাথাব্যথার কারণ, তারাই মাথাকুটে মরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সামনে। ক্রাইস্টচার্চে অবশ্য বোলারদের কাজ আরেকটু সহজ হবে। ব্যাটসম্যানদের কাজ হবে কঠিন। উইকেট দেখে রস টেইলর তেমনই মনে করছেন। হ্যাগলি ওভালের উইকেটে বাউন্স সবসময়ই বেশী। সঙ্গে ঘাসও থাকবে অনেক। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন এই মাঠ আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। আমার মনে হয়, আগের টেস্টের ভেন্যু মাউন্টে কীভাবে খেলা উচিত ছিল আমরা এখনও তা বুঝে ওঠার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখানকার উইকেট সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক বেশি। আমার মনে হয় এখানে বাউন্স থাকবে ও বল ভালোভাবে কিপারের কাছে যাবে পুরো সময়ই। অনেক ঘাস থাকবে এখানে। বোলারদের জিভে জল চলে আসবে উইকেট দেখে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি নিবেদন দেখাতে হবে গত টেস্টের চেয়ে। তবে আমাদের ব্যাটাররা এই কন্ডিশনে অনেক অভ্যস্ত । এই টেস্ট দিয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার রেকর্ডে ড্যানিয়েল ভেটোরিকে স্পর্শ করবেন টেইলর। দুজনেই খেলেছেন ১১২ করে টেস্ট। তবে রেকর্ডটি শুধু নিজের করে নেওয়া হবে না। সিরিজ শুরুর আগেই তিনি ঘোষণা করেছেন, এই সিরিজই শেষ। ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট তাই তার বিদায়ী টেস্ট।
১৪ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে অনেক আবেগ তার মনে খেলে যেতে পারে। তাতে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স বাধাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগও থাকে। দল হেরে যাওয়ায় এখন টেইলরের বিদায়ের চেয়ে দলীয় লক্ষ্যে নজর থাকবে বেশি। এটিকে তিনি মনে করছেন দারুণ ইতিবাচক। তিনি বলেন ক্রিকেট আমার জীবনের বড় অংশ। সবসময়ই টেস্ট ক্রিকেট খেলতে উপভোগ করেছি। তবে সিরিজের বাস্তবতার কারণেই হয়তো কাজটা সহজ হবে ।
আমরা জানি, ১-০তে পিছিয়ে আছি। আমাদের জিততেই হবে। শুধু সিরিজ বাঁচাতে নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্টের জন্যও। মনোযোগ তাই সেখানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন নিয়ম যোগ করল আইসিসি
পরবর্তী নিবন্ধকেপটাউন টেস্টে ফিরছেন কোহলি