রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের একটি বিমানঘাঁটিতে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রাশিয়ার নিয়োগ করা আঞ্চলিক প্রশাসনের প্রধান সের্গেই আকসনভ জানিয়েছেন, ক্রাইমিয়া উপত্যকার পশ্চিম উপকূলে নভোফেদোরিভকার কাছে স্যাকি বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত হয়েছে। উপদ্বীপটির স্বাস্থ্য বিভাগ এক বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং আরও ৮ জনের আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা তিনটা বিশ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণ শুরু হয় এবং কমপক্ষে বারটি বিস্ফোরণের শব্দ তারা শুনেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরে জানিয়েছে যে সেখানে গোলাবারুদ ধ্বংস করা হয়েছে।
সামরিক ঘাঁটিতে ওই সিরিজ বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার রাত্রিকালীন ভাষণে বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্রাইমিয়া দিয়ে শুরু হয়েছে, এর স্বাধীনতার মাধ্যেই শেষ হবে। ক্রাইমিয়া ইউক্রেনের এবং আমরা কখনোই হাল ছাড়বো না। তিনি বলেন, ক্রাইমিয়ার যুদ্ধ এটিকে মুক্ত করার মাধ্যমেই শেষ হতে পারে এবং তার বিশ্বাস যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই তারা ক্রাইমিয়া উপত্যকা পুনর্দখল করতে পারবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াক বলছেন যে এই বিস্ফোরণের জন্য কিয়েভ দায়ী নয়।
ক্রাইমিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের হলেও ২০১৪ সালে এক গণভোটের পর থেকে রাশিয়া উপদ্বীপটি নিজেদের দখলে রেখেছে। ইউক্রেইন এবং পশ্চিমা দেশগুলো ওই গণভোটকে অবৈধ মনে করে। রুশপন্থি সেনারা উপদ্বীপটির একাধিক কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দখল নেওয়ার পর তড়িঘড়ি ওই গণভোট হয়েছিল। তাছাড়া এলাকাটি রাশিয়ার পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
নভোফেদোরিভকার স্যাকি সেভাস্তপোল বন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে। এটি রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরে থাকা জাহাজের অবস্থানস্থল। এখান থেকেই রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজগুলো ইউক্রেনের উপকূল অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মস্কো ইউক্রেনে হামলার জন্য ক্রাইমিয়াকে তাদের সৈন্য ইউক্রেনের ভেতরে যাওয়ার করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে।