টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের স্পি বিভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। তার ঘুর্ণির সামনে কাবু হচ্ছে বিশ্বের সেরা সব তারকারা। গতকাল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনেই আবারো বল হাতে ভেল্কি দেখালেন তাইজুল। গতকাল ক্যারিয়ারে ১১ বারের মত ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই স্পিনার। যদিও শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সবুজাভ উইকেটে তিন পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে আইরিশ ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল। সাকিব আল হাসানের মাত্র ৩ ওভার বোলিংয়ের দিনে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের দায়িত্বটা দারুণভাবেই পালন করলেন তাইজুল। টেস্ট ক্রিকেটে তার ১১ বার পাঁচ উইকেট এটি। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এরপর ৯ ইনিংসে আরও তিন বার ৪ উইকেটসহ মোট ১৬ শিকার করেন তিনি। সবশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দুই টেস্টেই নেন ৪ উইকেট। কিন্তু পাননি পঞ্চম উইকেটের দেখা।
অবশেষে এবার ৫ উইকেট পেলেন তিনি। এ জন্য ২৮ ওভারে ১০ মেডেনসহ ৫৮ রান খরচ করেছেন তাইজুল। এ নিয়ে ছয়টি দেশের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তাইজুল। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি বার ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি ১৯ বার ৫ উইকেট নিয়েছেন। এ দুজনের পরের নামটি মেহেদী হাসান মিরাজের। তিনি নিয়েছেন ৯ বার। দিনের প্রথম সেশনে অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে এলবিডব্লিউ করে প্রথম শিকার ধরেন তাইজুল। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। প্রথম সেশনে আর সাফল্য পাননি তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনে তার শিকার পিটার মুর ও কার্টিস ক্যাম্পার। আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন মুর। আর্ম বলে এলবিডব্লিউ হন ক্যাম্পার। শেষ সেশনে তাইজুলের বলে লর্কান টাকারকে স্টাম্পিং করেন লিটন দাস। পরে অ্যাডায়ারকে এলবিডব্লিউ করে তাইজুল পূরণ করেন নিজের ৫ উইকেট। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুল বলেন উইকেটের যা অবস্থা তাতে উইকেট পাওয়া কঠিন ছিল। তাইজুল বলেন মনতো চায় ৫০০/৬০০ উইকেট নিতে। কিন্তু বয়সতো হয়ে গেছে। তবে বুড়ো হয়ে যাইনি। ৪১ টেস্টে ১৭১ উইকেট নিয়েছে ৩১ পেরিয়ে আসা এই স্পিনার। তাই এখনো দলকে আরো অনেক কিছু দিতে চান বলে জানালেন তাইজুল।