রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী হোসেন আহমেদ কায়সার (৪১) প্রকাশ হোসেন মাঝি নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উখিয়ার ১৭ নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৭ নং (এফডিএমএন) ক্যাম্পের ব্লক সি, এইচ/৭৯ নং সাব ব্লকের আবু সৈয়দের চায়ের দোকানের সামনে খালি জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল ও একাধিক সিম জব্দ করা হয়েছে।
এপিবিএন অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, নিহত হুসেন মাঝি একাধিক হত্যা মামলার আসামি। তারা ক্যাম্পে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতো। আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে ক্যাম্পে কাজ করছে এপিবিএনের একাধিক টিম।
উল্লেখ্য, উখিয়া–টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে ৩০টির বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী। ক্যাম্পে সংঘটিত হচ্ছে একের পর এক খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, গুম, মাদক ও মানব পাচারের ঘটনা। জেলা পুলিশের তথ্য মতে, শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ৭ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পে খুন হয়েছেন ৪৮ জন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খানের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল কুতুপালংয়ের ১ পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকে যায়। তারা যখন রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মিয়ানমারে চালানো নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তখন ওই ক্যাম্পের কাছের ওয়ান/ইস্ট ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে এবাদুল্লাহ নামের ওই ব্লকের উপপ্রধান বা সাব মাঝিকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, এবাদুল্লাহ রোহিঙ্গাদের ডেকে আইসিসির প্রতিনিধিদের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আরসা সন্ত্রাসীরা খুন করে।
গতকালের ঘটনার পর ক্যাম্পগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।